এবার সেচ্ছাশ্রমে অসহায় কৃষকদের ধান কাটতে কাস্তে হাতে মাঠে নেমে গেলেন ছাত্রীরা। মাথা আর কোমরে গামছা বেঁধে ধান কেটেছে রংপুরের পীরগঞ্জের চতরা এলাকায় একঝাঁক শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার দুপুরে চতরা বিজ্ঞান ও কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রব প্রধানের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা স্থানীয় বর্গা চাষিদের ধান ক্ষেতে যায়। সেখানে তারা স্বেচ্ছায় দরিদ্র কৃষকদের ধান কাটা কার্যক্রমে অংশ নেয়।
দরিদ্র কৃষকরা ধানের মূল্য বিপর্যয় আর শ্রমিক সংকটে যখন দিশেহারা, তখন অনেক কোমলমতি শিক্ষার্থী স্বেচ্ছায় ধান কেটে দিতে মাঠে ছুটে এসেছে।
ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আব্দুর রব প্রধান বলেন, বর্তমান বাজারে একজন শ্রমিকের একদিনের মজুরি ৫০০-৭০০ টাকা। এটা দরিদ্র কৃষকের পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়।
কারণ ধানের বাম্পার ফলনের পরও মূল্য বিপর্যয় আর চরম শ্রমিক সংকটে তারা এখন দিশেহারা। এ অবস্থায় আমার প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা নিজ উদ্যোগে স্থানীয় দরিদ্র কৃষকদের ধান কেটে দেয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয়রা। তারা বলছে, একদিকে ধানের দাম কম, অন্যদিকে শ্রমিক সংকট। অনেকেই এখনো শ্রমিক সংকটে ধান কাটাতে পারছে না। বিশেষ করে দরিদ্র কৃষকরা বেকায়দায় পড়েছে। এ সময় ওরা (ছাত্র-ছাত্রীরা) যেভাবে এগিয়ে এসেছে, তা প্রশংসনীয়।